১ ছোবা/স্ক্যাব/লাফা: ১০০% প্রাকৃতিক ও অর্গানিক । শরীরের মৃত কোষ ও ময়লা পরিস্কার করে এমনকি থালা বাসনও মাজা যায়। প্রায় ২-৩ মাস ব্যবহার উপযোগী । আপনার উৎপাদন খরচ সর্বোচ্চ ১২ টাকা পর্যন্ত পড়তে পারে । প্যাকেটজাত করার পর সবোর্চ্চ ২০-৩০ টাকা বিক্রি করতে পারেন । [সুত্র]
আমেরিকা ও ইউরোপে এর যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে । সম্ভাবনা দেখেতে চান ঘুরে আসতে পারেন সরাসরি খামার থেকে । বাজার নিয়ে উদ্বিগ্ন ? কোথায় বেচবেন কিভাবে বেচবেন ? তাহলে এবার বাজারটা ঘুরে আসি । আমাজন, ইবে র মত আন্তজার্তিক স্টোরগুলোতে বিক্রি হচ্ছে ২-৫ ডলার । কিভাবে আপনার পণ্য আমাজনে বিক্রি করবেন জানতে দেখেতে পারেন আমাজন এফবিএ । সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারলে দেশের বাজারেও ভাল ব্যবসা করা সম্ভব । ইকমার্স ব্যবসা করতে চাচ্ছেন একবার ভেবে দেখতে পারেন । আপনার অনলােইন স্টোরের একটি আকর্ষনীয় পন্য হতে পারে এটি ।
২ কাপড়ের ও কাগজের ব্যাগ: এই ব্যবসা শুরু করতে ৫-১০ হাজার টাকা হলেই শুরু করা যায় তবে লাখ খানেক টাকা বাজেট হলে যুগোপযোগী এবং আন্তর্জাতিক মানের ব্যাগ তৈরি করা সম্ভব । প্রয়োজন হলে প্রশিক্ষন নিয়ে নিতে পারেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) থেকে । এছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্টান রয়েছে এসকল বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য ।
ব্যাগ তৈরির খরচ কেমন হবে বিষয়টি নির্ভর করে কাচামাল ক্রয়ের অভিজ্ঞতার ওপর । কাঁচামাল প্রাপ্তি নিয়ে চিন্তিত -? চায়না কাপড়, সুতা ও ফিতা পাবেন ইসলামপুরে। চকবাজারে পাবেন ফাইবার ও রিপিট। স্ক্রিন প্রিন্টের ডাইস বানিয়ে নিতে পারেন শাঁখারি বাজার থেকে। রং কিনতে পারেন নবাবপুর থেকে। [সুত্র]
কেস স্টাডি হিসেবে যাদের সফলতার গল্প উঠে এসেছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো “বিদেশের বাজারে নেত্রকোনার শপিং ব্যাগ”, শপিং ব্যাগ তৈরি করে স্বাবলম্বী দিনাজপুরের দুই হাজার পরিবার ।
৩খেলনা তৈরি: খেলনা শিল্পটি আমদানী নির্ভর হলেও বর্তমানে ৩০ শতাংশ খেলনা তৈরি হচ্ছে দেশেই । ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের ১০ মাসে খেলনা শিল্পে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি প্রায় ৪৫০ শতাংশ বেড়েছে। নানা রকম প্রতিকূলতা সত্বেও এই শিল্প আজ অগ্রসরমান । বর্তমানে অনেক চীনা পণ্য আমাদের দেশেই তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে । এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছে প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি শ্রমিক ।
বেকার বসে না থেকে শুরু করতে পারেন খেলনা তৈরির ব্যবসা । ৫০ হাজার টাকার মত মূলধন নিয়ে শুরু করতে পারেন আর সাথে লাগবে একাগ্রতা, প্রশিক্ষণ এবং বিপণন দক্ষতা (সুত্র) । খেলনা প্রস্তুতকারী সমিতির হিসেবে এখন পুরনো ঢাকা এবং তার আশেপাশে প্রায় তিন’শ কারখানায় খেলনা উৎপাদন করা হয়। এসব কারখানাগুলোর অধিকাংশই অবস্থিত ইসলামবাগ, লালবাগ এবং কামরাঙ্গির চরে।
খেলনা নিয়ে আরো কিছু জানতে চান?

৪কাপড় কাচার সাবানঃ বার সাবান না লিকুইড? হোটেল বা রেস্টুরেন্টে এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খাওয়া দাওয়া শেষে প্লেট, গ্লাস, চামচ ইত্যাদি ধোওয়ার জন্য তরল সাবান ব্যবহার করা হচ্ছে । এবং দিন দিন এর ব্যবহার বেড়েই চলছে । ব্রিটেনে মোট সাবান ব্যবহারের ২০ শতাংশেরও কম জায়গা বরাদ্দ রয়েছে বার সাবানের জন্য, বাকিটা লিকুইড সাবানের দখলে। অচিরেই এই লিকুইড সাবানের কদর দেশে বেড়েই চলছে । লিকুইড সাবান কিভাব তৈরি হয় দেখতে ক্লিক সুত্র ১, সুত্র ২ ।

৫এপার্টমেন্ট ভবনের গার্বেজ কালেকশন:ঢাকা শহরের (অন্যান্য বড় শহরেরও) এপার্টমেন্টভবনগুলো থেকে সিস্টেম্যাটিক পদ্ধতিতে গার্বেজ সংগ্রহ করে তা ডিসপোজালের ব্যবস্থা করা যায়। এলিফেন্ট রোডের একটি এরকম এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স বাসে প্রায় ৮০০০ টাকা এই খাতে খরচ করে। গার্বেজ কালেকশন এবং ডিসপোজাল হবে এই উদ্যোগের মূল কাজ। তবে ভবিষ্যতে এটিকে আরো সম্প্রসারিত করে রিসাইক্লিং-এর ব্যবসাও করা যেতে পারে।

৬
ডে কেয়ার সেন্টার প্রতিষ্ঠা এবং পরিচালনা : কর্মজীবি মা-বাবা তাদের সন্তানের প্রপার কেয়ার এন্ড মেইনট্যানেন্স এর জন্যে সকালে অফিসে যাবার আগে ডে কেয়ার সেন্টারে রেখে যাবে এবং বিকেলে / সন্ধ্যায় ফেরার পথে নিয়ে যাবে। অথবা এমনও হতে পারে যে, ডে কেয়ার সেন্টারের পক্ষ থেকে সকালে নিজস্ব পরিবহনের মাধ্যমে বাচ্চাদের নিয়ে আসা হবে এবং সন্ধ্যায় বাড়ী পৌছে দেয়া হবে। ডে কেয়ার সেন্টার বাচ্চাদের ফুড (মেন্যু অনুযায়ী), মেডিসিন, বেসিক এডুকেশন, বিনোদন, খেলাধূলা, কেয়ার এন্ড মেইনট্যানেন্স প্রভাইড করবে বিনিময়ে এডমিশন ফিস সহ মাসিক একটি ফিস নেয়া হবে। কর্পোরেট কালচারের প্রাদুর্ভাবের কারনে এই ব্যবসাটির প্রসার এবং সম্ভাবনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৭হোটেল- ক্যাটারিং:এলাকা ভিত্তিক এই ব্যবসাটা সহজেই করা সম্ভব। তা ছাড়া এই ফিল্ডে শিক্ষিত ও রুচিশীল লোকের অভাব রয়েছে। উন্নত, বিশুদ্ধ, টাটকা খাবার সরবরাহ করে ভাল সেবা দিতে পারলে নাম ছড়িয়ে পড়বে ধীরে ধীরে- ব্যবসা তখন সময়ের ব্যাপার মাত্র
৮
প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট: অনেক প্রবাসীর বাংলাদেশে একাধিক এপার্টমেন্ট থাকে. এপার্টমেন্ট গুলো সাধারণত ভাড়া দেয়া থাকলেও ভাড়া তোলা, রক্ষনাবেক্ষণ, শুল্ক ব্যাবস্থাপনা, আর সিটি কর্পোরেশন এর নানা রকম কাজের জন্য বিশস্ত ও আন্তরিক সার্ভিস এর খুব অভাব আর চাহিদা দুটিই আছে বলে মনে করি. প্রবাসীদের নিকট অত্তীয়রা সবসময় আন্তরিকতার সাথে এই সার্ভিস গুলো দিয়ে থাকে না. প্রায় বিনা পুজিতে আপনার সুনাম আর বিশস্ততা পুজি করে একটা ওয়েব পোর্টাল খুলে প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট এর ব্যবসা করার কথা ভেবে দেখতে পারেন.
৯স্টক লটের ব্যবসাঃ সহজ ভাষায় স্টক লট হচ্ছে- Garments & Textiles এ শীপমেন্ট ফেইল, বা অন্য কোন কারনে বাতিল হয়ে যাওয়া মাল এর স্তুপ। যা কি না কোন Garments & Textiles এর মালিক ই স্বপ্নেও আশা করেন না। একজনের দুর্ভাগ্য আর আপনার সৌভাগ্য। আপনি স্টক লটের ব্যবসাও করতে পারেন, তাই আপনার আশে পাশের Garments & Textiles যোগাযোগ রাখতে হবে GM, PM দের সাথে। তারাই আপনাকে খোঁজ দিবে। এছাড়াও এলাকার নেতাদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন, তাড়াও এই ব্যপারে খোঁজ খবর রাখে, ভয় পেলেন নাকি, আরে ভাই ভয়ের কিছুই নাই, আমিত আছি নাকি। কারো কাছে না পেলে আমার কাছে পাবেন। যাই হোক – আপনি টি শার্ট, গ্যাঞ্জি, জিন্স প্যান্ট, গ্যাবাইডিং প্যান্ট, শার্ট দিয়ে প্রতমে শুরু করতে পারেন এই ব্যবসা। বাজারে প্রচুর চাহিদা এই মালের। তাছাড়া বিদেশে হাত থাকলে আরো ভালো। স্টক লটের ব্যবসা হচ্ছে প্রচুর মাল কিনতে হবে এক সাথে। কারন ফ্যাক্টরিতে যখন মাল জমে যায় শুধু তখনি তা লট হিসেবে বিক্তি করে দেয়। যদি টাকা জমিয়ে না রেখে অল্প দিনে তুলে ফেলতে চান, তাহলে স্টক লটের ব্যবসা করতে পারেন।
ধরেন আপনি একটি Garments or Textiles থেকে একসাথে ৫০ হাজার পিস টি-শার্ট কিনলেন ৪০ টাকা করে, মোট- ২০,০০০০০ টাকা, সেই টি-শার্ট গুলো বিক্রি করলেন ১৫-২৫ টাকা লাভে। তাহলে ২০ টাকা লাভে আপনি পাচ্ছেন ১০,০০০০ টাকা।
সমস্ত খরচ ১,০০০০০ টাকা দরেন, তাহলে থাকবে ৯,০০০০০ টাকা লাভ, এইটা কিন্তু খারাপনা ব্যবসা।
বিঃদ্রঃ মার্কেট দেখে বুঝে মাল কিনতে পারলেই লাভ, মনে রাখবেন আপনাকে মাল কেনার টাইমেই লাভ করতে হবে, বিক্রির টাইমে নয়। (সুত্র)
১০
কোয়েল পাখি পালন: ১০০০০ টাকা থেকে ৫০০০০ টাকা হলেই এই ব্যবসা শুরু করা যায় । একটি ভালো জাতের কোয়েল বছরে ২৫০-৩০০টি ডিম দেয়। এই ডিমগুলোর প্রায় প্রতিটি থেকেই বাচ্চা পাওয়া যায়। ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার ছয়-সাত সপ্তাহের মধ্যেই বাচ্চা বিক্রি করা যায়। ৫০-৬০টি কোয়েল নিয়ে খামার শুরু করলে খরচ বাদে বছরে প্রায় ২-৩ লাখ টাকা লাভ হয়। কোয়েল পালনে খরচ খুবই কম। রোগবালাই কম, তাই ঝুঁকিও কম।বাজারে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পাইকারিভাবে ডিম ও বাচ্চা বিক্রি করতে পারেন। রোগীর পথ্য হিসেবে বাচ্চা কোয়েলের বেশ চাহিদা রয়েছে। (সুত্র)